
দিনকাল রিপোর্ট : সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ পথচারী বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, পথচারীরা কোনো আইন মানবে না। ফুটওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস, জেব্রা ক্রসিং থাকার পরও চলন্ত গাড়ির সামনে ঝাঁপ দেবে। গতকাল রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ট্রাফিক সপ্তাহ উদ্বোধনকালে একথা বলেন তিনি। সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় পঞ্চম বারের মতো শুরু হওয়া এই ট্রাফিক সপ্তাহ চলবে আগামী ২৩ মার্চ পর্যন্ত। : ডিএমপি কমিশনার বলেন, এমন কি রোড ডিভাইডারে যে কাঁটাতারের বেড়া আছে, বাচ্চা কোলে, ব্যাগ নিয়ে পথচারীরা সেখানেও রাস্তা পারাপার হয়। এতে দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা পথচারী ভাইবোনদের অনুরোধ করবো, রাস্তা পারাপার হোন নিয়ম মেনে। ট্রাফিক পুলিশ আপনাদের সহায়তা দেবে। মোবাইলে কথা বলতে বলতে এয়ারফোন কানে দিয়েও পথচারীদের রাস্তা পার হতে দেখি। এসব বন্ধ করতে হবে। : চালকদের প্রতি তিনি বলেন, আমি চালক ভাইদের প্রতি অনুরোধ করছি আপনারা দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাবেন না। ওভারটেক করে অহেতুক দুর্ঘটনার সৃষ্টি করবেন না। যত্রতত্র যাত্রী উঠিয়ে ও পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে অহেতুক প্রাণ কেড়ে নেবেন না। মোবাইলে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালানো ফৌজদারি অপরাধ। এটি কোনো চালক করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। : মালিকদের প্রতি গাড়ির কাগজপত্র ঠিক রাখার আহ্বান জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামাবেন না। চালকদের মাসিক ভিত্তিতে ঠিকাদারি পদ্ধতিতে গাড়ি চালাতে দেবেন না। অধিক লাভের লোভে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। ট্রাফিক আইন অমান্য করলে অবশ্যই আইন প্রয়োগ করব, প্রসিকিউশন দেবো। প্রয়োজনে জরিমানা করব। : তিনি আরও বলেন, যিনিই ট্রাফিক আইন অমান্য করবেন, জনগণের দুর্ভোগের কারণ হবেন, যানজট বাড়িয়ে দেবেন, তিনি যেই হোন না কেন তার বিরুদ্ধে আমরা আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করবো। আর সব নাগরিককে অনুরোধ করি, আপনারা দেশের ট্রাফিক আইন মানুন, তাহলেই ট্রাফিক সহনশীল পর্যায়ে আসবে। নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘব হবে। : এ সময় ডিএমপি কমিশনার জানান, আমরা মতিঝিল, এলিফেন্ট রোড, ঢাকা কলেজ, বেইলি রোড, নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতে থাকা অবৈধ দখল উচ্ছেদ করেছি। প্রত্যেকটি এলাকায় ক্রমান্বয়ে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে। দোকানের অতিরিক্ত জায়গা ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। রাস্তায় ফুটপাতে কোনো মালামাল রাখা যাবে না। : :
No comments