পনীর মোগলাই

কোন ভাজা খাবারই আমার নিজের জন্য খুব উপাদেয় মনে হয় না। আমি এসব কখ্নই নিজের জন্য তৈরি করি না। তবে যখনই বাড়িতে গেষ্ট আসে তখনই কিছু না কিছু নতুন জিনিস বানাতে চেষ্টা করি। সবার সাথে বসে গল্প করতে করতে এক আধটা খেতে ভালও লাগে। আল্টিমেটাম, আমি ভোজন রসিক নই। অথচ আমি খাওয়াতে খূঊূঊূঊূঊূঊুব ভালবাসি।





উপকরণ

পুরের জন্য পনীর - ২ কাপ, গ্রেটেড, নিজে তৈরি করে নিতে পারলে আরও ভালো হয়। ক্যাপসিকাম - ১ টি গাজর - ১ টি, গ্রেটেড মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ - ১ টি, কুঁচানো আদা রসুন বাটা - ১ চা চামচ নুন, হলুদ - পরিমাণ মত জিরে গুঁড়ো - হাফ চামচ ধনিয়া গুঁড়ো - হাফ চামচ আমচুর - ১ চামচ গরম মশলা গুঁড়ো - হাফ চামচ রুটি বানানোর জন্য ময়দা - ২ কাপ তেল - ২ টেবল চামচ নুন - পরিমান মত জল - জানিনা, যতটা মাখতে লাগে

প্রণালী

এবার কড়াইতে পরিমাণ মত তেল দিয়ে তার মধ্যে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা আঁচে ভাজতে হবে। পেঁয়াজগুলো হালকা ব্রাউন হলে তারমধ্যে সব মসলা গুলো একে একে দিয়ে মিনিট পাঁচেক নাড়তে হবে। সব মসলা ভাজা হলে, ক্যাপসিকাম আর গাজর দিয়ে মিনিট দুই তিনেক নেড়ে তার মধ্যে পনীর ঢেলে দিন। এই সব ঘ্ন্ট কিন্তু হালকা আঁচে ভাজতে হবে নইলে পুড়ে যাবে। তখন আমাকে দোষ দিলে কিন্তু হবে না। ভাজাটা এমন হবে যেন জল টেনে গিয়ে পুরটা অনেকটাই শ্রিঙ্ক (বাংলা জানিনা আর বানান নিয়ে মাথা ঘামাবেন না, রেসিপিটাই মুখ্য ) করবে। ব্যস! পুর রেডি। পরের স্টেপ হল, বড় বড় রুটি বানিয়ে তার মধ্যে পুর স্প্রেড করে দিয়ে চার দিক থেকে ভাঁজ করতে হবে। এবার একটা ফ্রাই প্যানে এপাশ ওপাশ ভেজে তার ওপরে অল্প তেল ছড়িয়ে আবার এপাশ ওপাশ ভেজে নিলেই মোগলাই রেডি। ডিপ ফ্রাইও করা যেতে পারে। কিন্তু অত তেল খাওয়া স্বাস্থের পক্ষে ভাল না। সেদিকেও তো নজর রাখতে হবে, নাকি?



No comments

Powered by Blogger.